শিরোনাম :
শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় বাবার কবরের পাশে শাহিত সাবেক চেয়ারম্যান শমসের জামান ভূইয়া রিটন রায়পুরা ম্যারাথন-২০২৫; দেশ-বিদেশের ৭০০ দৌড়বিদের অংশগ্রহণ ‘বিএনপি বিশ্বাস করে ঐক্য ও সম্প্রীতি ছাড়া উন্নত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়- মহসিন হোসেন বিদ্যুৎ পলাশে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত নরসিংদী মহিষাশুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুফতি কাউছার ও তার পালিত সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে ৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় মাধবদী প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গাজীপুর কোরআন প্রতিযোগিতায় ঘোড়াশাল কাশ্মীরের টেক মোহাম্মাদিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্রদের বিস্ময়কর ফলাফল। মনোহরদীতে জাতীয় ডেঙ্গু প্রতিরোধ অভিযান-২০২৫ পালন। রায়পুরা চরাঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ, নিহত ১ নরসিংদীতে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উদযাপন
বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ১০:২২ অপরাহ্ন

নরসিংদীর পলাশে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম সার কারখানা উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক / ৫৪১ বার
আপডেট : রবিবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: নরসিংদীতে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় সার কারখানা উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার (১২ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ১টায় বোতাম টিপে ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা উদ্বোধন করেন তিনি।

এর আগে বেলা ১২টার কিছুক্ষণ আগে নরসিংদী পৌঁছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ পরিবেশবান্ধব এই সারকারখানা উদ্বোধন উপলক্ষে দুপুরে প্রকাশিত সার কারখানা স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও সিলমোহর অবমুক্ত করবেন শেখ হাসিনা।

এরপর বিকেল ৩টার দিকে নরসিংদী জেলার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দেবেন তিনি। জনসভা শেষে সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকার উদ্দেশে হেলিকপ্টারে উঠবেন প্রধানমন্ত্রী।

এদিকে নরসিংদীর পলাশে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ পরিবেশবান্ধব ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানায় এরই মধ্যে শুরু হয়েছে পরীক্ষামূলক উৎপাদন। জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব এই কারখানায় বছরে ৯ লাখ ২৪ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদন হবে। দিনে উৎপাদন হবে ২ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হয়েছে ১৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৮ সালের অক্টোবরে কারখানার নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০২০ সালে বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারি শুরু হলে প্রকল্পের অবকাঠামোর কাজ বাধাপ্রাপ্ত হয়। পরে একই বছরের ১৬ আগস্ট পূর্ণোদ্যমে কাজ শুরু হয়। যার দায়িত্ব পায় চীনের সিসি সেভেন এবং জাপানের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মিৎসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। এরপর ২০২২ সালের ২১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

১১০ একর জমির ওপর নির্মিত প্রকল্পটি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকার ৪ হাজার ৫৮০ কোটি ২১ লাখ টাকা আর জাপান ও চীনের ঠিকাদারদের যৌথ কনসোর্টিয়াম ব্যাংক অব টোকিও-মিৎসুবিশি ইউএফজে লিমিটেড ও দ্য হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন লিমিটেড ১০ হাজার ৯২০ কোটি টাকার ঋণ দেয়।

দেশের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতে ইউরিয়া সারের চাহিদা মোটানো ও সুলভমূল্যে কৃষকদের কাছে সার সরবরাহ নিশ্চিত, আমদানি হ্রাস করে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে এই কারখানা অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরো সংবাদ