সাব্বির আহমেদ,শিক্ষানবিশ প্রতিনিধি
সাংগঠনিক ঐক্যের প্রতীক, সৎ ও সাহসী একজন অভিজ্ঞ সংগঠক, সবার কাছে যিনি আদর ও শ্রদ্ধার পাত্র; রায়পুরা উপজেলার বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান খোকন।
কোন কারণে দলে সাংগঠনিক মতবিরোধ দেখা দিলে, সাংগঠনিক সমস্যা নিরোধনে, সকল দ্বিধাদ্বন্ধ ভুলে দ্রুত সমস্যা নিরসনকল্পে সঠিক দায়িত্ব ও সুস্থ সমাধানে যোগ্যতার পরাকাষ্ঠা দেখিয়ে সুনাম অর্জন করতে পরেছেন তিনি।
আবদুর রহমান খোকন এর সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা, বিচক্ষণতা, সাংগঠনিক ও সামাজিক দূরদর্শীতা এবং দলীয় শৃঙ্খলাবোধ ও আদর্শ ধারণ-বাহণে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তার মানবিক গুণাবলির প্রশংসায় পঞ্চমুখ দলীয় নেতৃবৃন্দ ও সুশীল সমাজ।
একটি মহলের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র করে তার ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চেষ্টা করছে। এই ঘৃণিত কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে রায়পুরা উপজেলার সকল ইউনিয়ন এর তৃণমূল নেতাকর্মীরা নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
নরসিংদী জেলা বিএনপির সহ-কোষাধ্যক্ষ রায়পুরা পৌরসভার সাবেক ২ বারের মেয়র হাজী আব্দুল কুদ্দুস মিয়া, জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হক ভূইয়া মোহন, জেলা বিএনপি নেতা শাহজান সরকার সুহাগ তারা জানান, ৫ আগষ্ট এর পর থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নরসিংদী জেলা বিএনপির সভাপতি, জাতীয় নেতা খাইরুল কবীর খোকন ও সেক্রেটারী আলহাজ্ব মনজুর এলাহীর নেতৃত্বে বিএনপির সকল নেতাকর্মী ঐক্যবন্ধ হয়ে সকল দ্বিধাদ্বন্দ ভুলে মাঠ পর্যায়ে সাংগঠনিক অবস্থা আরো জোরদার করতে রায়পুরা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান খোকন এর আহবানে ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুলসহ আরো ৬জন বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীগণ বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো: ইকবাল হোসেন শ্যামল, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা যুবদলের সভাপতি মহসিন হোসাইন বিদ্যুৎ, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি জামাল আহমেদ চৌধুরী, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম এন জামান,জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল আমিন ভূঁইয়া রুহেল, জেলা বিএনপির স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক এ কে এম জাহাঙ্গীর আলম বাদল মাঠে অকান্ত পরিশ্রম করে আসছিল।
রায়পুরা বিএনপিকে পুরনো শক্তিতে ফিরিয়ে আনাতে দলের অভ্যন্তরে বিভিন্ন পর্যায়ের তৃণমূল নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় তুলেছেন হাইকমান্ডে যোগ্য নেতৃত্বের অধিকারী আব্দুর রহমান খোকনকে সাংগঠনিকভাবে আরো সম্মানিত করার জন্য।
শহীদ জিয়ার আর্দশের সৈনিক তারেক রহমানের নির্দেশে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আমলে রাজনৈতিক হামলা-মামলাসহ বিভিন্ন নির্যাতনের শিকার আব্দুর রহমান খোকন এর দীর্ঘ ৩৯ বছর রাজনৈতিক জীবনে দলের প্রতি আস্থা-ভালবাসা, সততা-নিষ্ঠা ও সাহসিকতা পরিচয় দিয়ে সংগঠনের প্রতি আনুগত্যের পরিচয় দিয়েছেন তিনি। বার বার কারাবরণ, দমন-পীড়ন, মামলা-হামলা কোনো কোন ষড়যন্ত্রই তাকে দাবিয়ে রাখতে পারেনি।
তিনি শুধু একজন রাজনৈতিক কর্মীই নন; তিনি রায়পুরা উপজেলা বিএনপির মাটি ও মানুষের প্রাণ পুরুষ! কর্মীবান্ধব নেতা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে দলের সকলের আস্থার প্রতীক ও সম্মান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।
দলের অভ্যন্তরে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা মনে করেন, তার সততা, ত্যাগ ও সংগঠন পরিচালনার দক্ষতার কারণে বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাকে মনে-প্রাণে বিশ্বাস করেন ও ভালো বাসেন। আব্দুর রহমান খোকনের নেতৃত্বে রায়পুরা বিএনপি আবারও পুরনো শক্তিতে ফিরে আসবে।
দল যদি মনে করে, আব্দুর রহমান খোকন এর মতো অভিজ্ঞ ও পরীক্ষিত ত্যাগী নেতার হাতে নেতৃত্বতের প্রকৃত দায়িত্ব দেয় হয় তাহলে রায়পুরা উপজেলা বিএনপি পুণরায় আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারবে শতভাগ আশাবাদী নেতাকর্মীরা।
চাঁনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল্লা আল মামুন বলেন, রায়পুরা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুর রহমান খোকন পরীক্ষিত ত্যাগী সৎ সাহসী নেতা হিসেবে আস্থা অর্জন করেছেন। শেখ হাসিনার আমলে বার বার কারাবরণ করতে হয়েছে। তার দুটি ঠিকানা হলো কারাঘর নয়ত রাজপথ।
আবদুর রহমান খোকন ২৪ টি ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি ও সেক্রেটারিদের সরাসরি ভোটে দুইবার নির্বাচিত সেক্রেটারী হয়েছিলেন। তার কাছে দলের নেতা কর্মীরা অনেক নিরাপদ মনে করেন। দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের দুঃখ-সুখের বন্ধু হিসেবে যোগ্যাতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
উপজেলা যুবদল নেতা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, স্বেরাচার শাসনকালে সবচেয়ে বেশি মামলার শিকার, সবচেয়ে বেশি দিন স্বৈরাচার বাহিনী দ্বারা মিথ্যা মামলায় জেল খেটেছেন আব্দুর রহমান খোকন। তিনি বিগত দিনে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিরোদ্ধে আন্দোলনে প্রতিটি কর্মসূচিতে স্বর্ত্বস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছেন দলীয় শতশত নেতাকর্মী নিয়ে।
তাঁকে মাইনাস করার জন্য যারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চেষ্টা করবে তারা কোনো দিনও সফল হবে না।
মির্জারচর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মোকলেছুর রহমান বলেন, আব্দুর রহমান খোকন দলের পরিক্ষিত ত্যাগী সাহসী সংগঠক তার নেতৃত্বে রায়পুরা উপজেলার ২৪টি ইউনিয়ন বিএনপি ঐক্যবন্ধ আছে।
রায়পুরা উপজেলা বিএনপির দুইবারের সাধারণ সম্পাদক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসী জুলাই বিপ্লবে রাজপথের লড়াকু সৈনিক আব্দুর রহমান খোকনের মতো অভিজ্ঞ ও ত্যাগী নেতার নেতৃত্বে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারবে বলে নেতাকর্মীরা মনে করেন।