দিপ্ত দাস, নিজস্ব প্রতিবেদক: পলাশের জিনারদী গ্রামের কালীমাতা মন্দিরের পুরোহিত ভোলানাথ চক্রবর্তীর বাড়িতে ৩ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) দুপুরে তালাবদ্ধ দরজা ভেঙে ১০ ভরি স্বর্ণালংকারসহ ও নগদ ৬০,০০০ টাকা চুরি করে নিয়ে চোরচক্র পালিয়ে যায়।
জানা যায়, পুরোহিত ভোলানাথ চক্রবর্তী ঐই দিন (বৃহস্পতিবার) অন্য গ্রামে পুজো করতে যায় এবং তার পরিবারের লোকজন পাশের বাড়িতে দুপুর ৩ টার দিকে তাদের বাড়ির দরজা ও গেইট তালাবদ্ধ করে দাওয়াত খেতে যায়। পরবর্তীতে, ভোলানাথ চক্রবর্তীর স্ত্রী শিমু রাণী চক্রবর্তী আনুমানিক বিকাল ৫ টার দিকে বাড়িতে এসে গ্রীলের দরজার তালা ভাঙা, প্রবেশ দরজা খোলা, ঘরের মধ্যে থাকা স্টিলের আলমারি ভাঙা ও ঘরের জিনিসপত্র এলোমেলো অবস্থায় দেখতে পান। বাসাটি থেকে ১০ ভরি স্বর্ণালংকার যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১৪ লাখ টাকা এবং নগদ ৬০,০০০ টাকা চোরচক্র চুরি করে নিয়ে যায় বলে দাবি করছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
পাশের বাসার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, অজ্ঞাত এক ব্যক্তি দেয়াল টপকিয়ে একটি বাড়িতে প্রবেশ করে এবং ঐ এলাকার দুই কিশোরকে বাসার আশেপাশে ঘুরাঘুরি করতে দেখা যায়। এই ঘটনার জেরে ভুক্তভোগী ভোলানাথ চক্রবর্তী তার বড় ভাই ১/ পীযুষ চক্রবর্তী (৪৬), ২/ প্রীতম চক্রবর্তী (১৮) পিতা-পীযুষ চক্রবর্তী ৩/ আদিত্য দাস (২০), পিতা- মাধব দাস ৪/দেয়াল টপকানো (অজ্ঞাত ব্যক্তি) এই ৪ জনকে আসামী করে তাদের বিরুদ্ধে পলাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করে। ভুক্তভোগী ভোলানাথ চক্রবর্তী আরো জানায়, তার বড় ভাইয়ের সাথে বহুদিন ধরে পূর্বশত্রুতা চলছিলো এবং এরই জের ধরে তার বড় ভাই ও ভাইয়ের ছেলে উক্ত ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি করেন এই ভুক্তভোগী।
উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে মামলার আসামী পীযুষ চক্রবর্তী ও তার ছেলে প্রীতম চক্রবর্তীকে পুলিশ গ্রেফতার করে এবং আরেক আসামী আদিত্য দাস পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছে পলাশ থানা পুলিশ। অন্যদিকে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা, দেয়াল টপকানো অজ্ঞাত আসামীর পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি।