মো. সুমন মিয়া, নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন,অবশ্যই নির্বাচন হতে হবে বাংলাদেশে। কিন্তু যেনতেন মার্কা নির্বাচন এ জাতি চায় না। নির্বাচনের মত নির্বাচন চায়, সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। যে নির্বাচনে পেশি শক্তি আর কালো টাকার খেলা চলবে না, এমন একটি নির্বাচন আমরা চাই।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে নরসিংদীর সাটিরপাড়া কালিকুমার ইন্সটিটিউট মাঠে জেলা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, ফ্যাসিবাদ আপাতত বিদায় নিয়েছে কিন্তু আমরা নিবন্ধনটা এখনও ফিরে পাইনি। নিবন্ধনের জন্য এখনও আদালতে লড়াই করতে হচ্ছে। এটা বাংলাদেশের জন্য লজ্জার বিষয়। অন্যায়ের কাছে ফ্যাসিবাদের কাছে মাথা নত না করার কারণে কেড়ে নেয়া নিবন্ধনটা ফ্যাসিবাদের পরিবর্তনের সাথে ফিরিয়ে দেয়া উচিত ছিল।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি নরসিংদী জেলার আমীর মাওলানা মোছলেহুদ্দীনের সভাপতিত্বে জেলা সেক্রেটারি উপাধ্যক্ষ মাওলানা আমজাদ হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত গণহত্যাকারী আওয়ামী ফ্যাসিস্ট ও তার দোসরদের দ্রুত বিচার এবং বৈষম্যহীন-ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র কায়েম, মানবিক ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আয়োজিত জনসভায় তিনি আরো বলেন,সত্যিকার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের ভোটার তালিকা সংশোধন করতে হবে। যারা ভুয়া ভোটার তাদেরকে বাদ দিতে হবে। যেসমস্ত যুবকরা ভোটার হয়েছে কিন্তু নাম তালিকাভুক্ত হয় নাই তাদেরকে তালিকাভুক্ত করতে হবে। জুলাই আন্দোলন করতে যেয়ে বিদেশেও ভাইয়েরা জেলে গিয়েছে। তারা একই সাথে আমাদের সাথে যুদ্ধ করেছে। রেমিটেন্স বন্ধ করে স্বৈরাচারী সরকারকে লাল ফ্লাগ দেখিয়েছে, আমরা তাদেরকে স্যালুট জানাই। প্রত্যেকটি প্রবাসী ভাই ও বোনের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
নরসিংদী জেলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নরসিংদী একটি শীল্প এলাকা। এখানে অনেক লোক কাজ করে। কিন্তু স্বাস্থ্য সেবার জন্য এখানে কোন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নেই। অনেক সময় মুমূর্ষু রোগী নিয়ে ঢাকা যাওয়ার পথে বিনাচিকিৎসায় অনেকে মারা যায়। আপনাদের সাথে আমিও একমত, নরসিংদীতে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চাই। তাই আমি বর্তমানে যারা দায়িত্বে আছেন তাদেরকে বলব আগামী একনেকের বৈঠকে এবিষয়ে আলোচনা আনুন।
বর্তমান প্রশাসন নিয়ে আমীরে জাময়াত বলেন, যারা মাঠ প্রশাসনে আছেন, যারা অতীতে দায়িত্বের পরিচয় দিতে পারেন নাই। দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন। যাদের হাত থেকে জনগণের টাকায় কেনা বুলেট এসে জনগণের বুকে লেগেছে, তাদেরকে আগামী নির্বাচনে কোন দায়িত্বে দেখতে চাই না। কিন্তু প্রশাসনের সৎ এবং দেশপ্রেমিক অফিসার যারা আছেন, তাদেরকে আমরা কথা দিচ্ছি তোমাদের দায়িত্ব পালনে তোমাদের হাতে হাত রেখে দেশবাসী কাজ করবে।
ভোটার তালিকা নিয়ে তিনি বলেন, ভোটার তালিকা সংশোধন করতে হবে। যারা ভুয়া ভোটার তাদেরকে বাদ দিতে হবে। যেসমস্ত যুবকরা ভোটার হয়েছে কিন্তু নাম তালিকাভুক্ত হয় নাই তাদেরকে তালিকাভুক্ত করতে হবে। জুলাই আন্দোলন করতে যেয়ে বিদেশেও ভাইয়েরা জেলে গিয়েছে। তারা একই সাথে আমাদের সাথে যুদ্ধ করেছে। রেমিটেন্স বন্ধ করে স্বৈরাচারী সরকারকে লাল ফ্লাগ দেখিয়েছে, আমরা তাদেরকে স্যালুট জানাই। প্রত্যেকটি প্রবাসী ভাই ও বোনের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
সভায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রিয় জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আ.ফ.ম আব্দুস সাত্তার, আব্দুল মান্নান, মজলিসে সূরা সদস্য এডভোকেট মশিউল আলম, মাওলানা মমিনুল হক, মাওলানা দেলোয়ার হোসেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর জামায়াতের আমীর মাওলানা আব্দুল জব্বার, মুন্সীগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমীর আ.জ.ম রহুল কুদ্দুস, নরসিংদী জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক মকবুল হোসেন, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম,ইসলামি ছাত্রশিবির নরসিংদী জেলা সভাপতি রুহুল আমিন সহ জেলা ও উপজেলা জামায়াতের নেতৃবৃন্দ।