দিপ্ত দাস, নিজস্ব প্রতিবেদক: ২৫ ডিসেম্বর (বুধবার) দিবাগত রাতে পলাশের জিনারদী কালীমাতা মন্দিরে তালাবদ্ধ গেইট ভেঙে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ২৫ ডিসেম্বর (বুধবার) রাত ১১:৩০ টা পর্যন্ত মন্দিরে এক মাস ব্যাপী প্রতিদিনের মতোই কীর্তন চলছিল। কীর্তন শেষে সবাই যার যার মতই গেইট তালাবদ্ধ করে বাসায় চলে যায়। পরের দিন সকাল বেলা মন্দিরে এসে কিছু মানুষ দেখতে পায় তালাবদ্ধ মূল গেইট ভাঙা, কালী মন্দির ও কৃষ্ণ মন্দিরের প্রবেশদ্বারের তালা ভাঙা, মন্দিরের দুটি দান বাক্সের তালা ভাঙা ও মন্দিরের ভেতরের আলমারি ভাঙা।
উক্ত মন্দির কমিটি ও পুরোহিত জানান, এখানে স্বর্ন ৩ আনা, পিতলের কাসর ১টা, দুই জোড়া কর্তাল, এক জোড়া ঘন্টা, পঞ্চপ্রদীপ ১ টা, পিতলের ধ্রুপতি ১টা, পিতলের গাছা ২ টা, মন্দিরের অনুষ্ঠান কার্যক্রমের পিতলের থালাবাসন ও আরো প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র চুরি হয়ে যায়।
তারা আরও জানায়, মন্দিরের অফিস রুম থেকে তালাবদ্ধ লকার ভেঙে উক্ত মন্দিরের দলিলপত্র, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নথি চুরি করে নিয়ে যায়।
দুইটা মন্দিরের প্রনামী বাক্সে আনুমানিক ক্যাশ ২০০০০ টাকার মত ছিল।
নরসিংদী সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আনোয়ার হোসেন শামীম উক্ত ঘটনার পরিদর্শনে আসেন এবং পলাশ থানার ওসি (অফিসার ইনচার্জ) পরিদর্শনে এসে বলেন উক্ত ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এছাড়া জিনারদী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফিরুজ মোল্লাও উক্ত ঘটনার পরিদর্শনে আসেন ও বিষয়টি নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করেন।
তবে উল্লেখ্য, মন্দিরের পুজা মন্ডব ও মূর্তির কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয় নি। উক্ত মন্দির সিসিটিভি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত থাকলেও যান্ত্রিক ক্রুটির কারনে কোনো ফুটেজ সংগ্রহ করা যায় নি।