সৈয়দ মোহাম্মদ ইমরান হাসান, নিজস্ব প্রতিবেদক:
নরসিংদীর মাধবদীতে নরসিংদী-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কামরুজ্জামানের পক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় মাধবদী থানা আওয়ামী লীগের আহবায়ক মো. সিরাজুল ইসলামের দেওয়া বক্তব্যের প্রেক্ষিতে কারণ দর্শানো নোটিশ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে নরসিংদী-১ আসনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নরসিংদী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসমা সুলতানা নাসরিন স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ তথ্য জানা যায়।
নোটিশে বলা হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে ১৯৯ নরসিংদী-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কামরুজ্জামানের পক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় আপনি মো. সিরাজুল ইসলাম, আহবায়ক, মাধবদী থানা আওয়ামী লীগ কর্তৃক বক্তব্য প্রদানের একটি ভিডিও চিত্র জাতীয় গণমাধ্যম সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যার পরিপ্রেক্ষিতে জনৈক মালিক মোহাম্মদ রাজিব নামে একব্যক্তি রিটার্নিং অফিসার বরাবর একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন। বক্তব্যের এক পর্যায়ে আপনাকে “নৌকার লোক পালাবার জায়গা পাবেনা” বলতে শোনা যায়; যা একটি নির্দিষ্ট দলীয় প্রতিকের সমর্থকদেরকে হুমকি প্রদানের সামিল এবং “সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮” এর বিধি ১১ এর সুষ্পষ্ট লংঘন।
এমতাবস্থায়, উস্কানিমূলক বক্তব্য বা বিবৃতি প্রদানের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট দলীয় প্রতীকের সমর্থকদেরকে হুমকি প্রদান করার কারণে এবং “সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮” এর বিধি ১১(ক) লংঘন করায় আপনার বিরুদ্ধে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না; তা পত্র প্রাপ্তির ০২ (দুই) দিনের মধ্যে নিম্নস্বাক্ষরকারীর কার্যালয়ে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিতভাবে কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।’
উল্লেখ্য, বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বিকালে নরসিংদী-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুজ্জামানকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে মধাবদী পৌর হল রুমে আয়োজিত এক মতবিনীময় সভায় মাধবদী থানা আওয়ামী লীগের আহবায়ক সিরাজুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, ‘নৌকার লোকেরা পালানোর জায়গা পাবেনা। বর্তমান এমপি হিরুর লোকেরা পালানোর জায়গা পাবেনা। মাধবদী মেয়রের বক্তবের পর মাধবদী অঞ্চলের ৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় সতন্ত্র প্রার্থী পক্ষে গণ জাগরণের সৃষ্টি হয়েছে। এই জাগরণে আর কেউ বাধা দিতে পারবেনা। মধাবদীর মেয়র মোশারফ সাহেব ইতোমধ্যে মাঠে নেমে গেছেন। তাই এখানে কামরুল ছাড়া আর কিছু থাকবে না। আগামীকাল থেকে মধাবদী থানার ৫টি ইউনিয়নে আমরাও একজন কামরুল ভাই হয়ে মাঠে নামবো। তাই নৌকার লোকেরা পালানোর জায়গা পাবেনা।’
মাধবদী থানা আওয়ামীলীগের আহবায়ক সিরাজুল ইসলামের বক্তব্যের ভিডিও বিভিন্ন গণমাধ্যম সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হলে জেলা জুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠে। আওয়ামীলীগের লোক হয়ে আওয়ামী লীগের প্রতিকের বিরুদ্ধে কথা বলায় জেলা জুড়ে সৃষ্টি হয় মিশ্র প্রতিক্রিয়া। জেলার সর্বত্র এবিষয়ে চলে আলোচনা-সমালোচনা।
এর আগে কোন প্রার্থীর পক্ষ নিয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসানুল ইসলাম রিমন বেফাস বক্তব্য দেওয়া বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছেন।