“বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ”
সাকিব আহমেদ : ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ অবিভক্ত বাংলার বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন কাজী নজরুল ইসলাম। জন্মের পর থেকেই শোষন,নিপীড়ন,দারিদ্র্য ও বঞ্চনার শিকার ছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম। আর এই দারিদ্র্যতা থেকেই তিনি তাঁর কলমের দ্বারা শোষিত মানুষের পক্ষে লিখেছিলেন গান,কবিতা ও সাহিত্য। মানুষকে তিনি বড় করে দেখেছেন সব সময়।যা তাঁর “সাম্যবাদী ” কবিতার মাধ্যমে প্রকাশ পায়। সাম্যের গান গেয়েছেন কবি সারাজীবন।
বাংলা সাহিত্য ও সংগীতে নতুন এক দিগন্ত উন্মোচিত হয় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের হাত ধরে। সাহিত্য হয় সমৃদ্ধ। শুধু কবিতা ও গানেই তিনি নিজেকে সীমিত রাখেননি; লিখেছেন নাটক-উপন্যাসও। কবি নজরুল ইসলাম একাধারে লেখক,সাংবাদিক, সুরকার,গীতিকার ও সংগীত শিল্পী ছিলেন।
ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ শাসনবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধেও নজরুলের কবিতা-গান জনগণকে উজ্জীবিত করেছে।
নজরুল তার কবিতা, গান ও উপন্যাসে এক স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য নিয়ে সোচ্চার ছিলেন সাম্প্রদায়িকতা, সাম্রাজ্যবাদ ও ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে।এমন কি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় তাঁর বিভিন্ন লেখনী ও অনুপ্রেরণামূলক সংগীতের মাধ্যমে যোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা দিয়েছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম।
১৯৭২ সালের ২৪ মে স্বাধীন বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে ভারত সরকারের অনুমতি নিয়ে কবি নজরুলকে সপরিবারে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়। তাকে দেওয়া হয় জাতীয় কবির মর্যাদা। বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে অবদানের জন্য ১৯৭৪ সালের ৯ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কাজী নজরুলকে ডিলিট উপাধিতে ভূষিত করে।
১৩৮৩ বঙ্গাব্দের এই দিনে ঢাকার তৎকালীন পিজি হাসপাতালে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। খ্রিস্টীয় ক্যালেন্ডারে দিনটি ছিল ২৯ আগস্ট ১৯৭৬। গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় মানুষ আজ স্মরণ করবে প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে।