নিহত ছাত্রদল নেতার পরিবারের সংবাদ সম্মেলন
নিউজ ডেস্ক: নরসিংদীতে ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে নিহত ছাত্রদল নেতার পরিবারের সদস্যরা সংবাদ সম্মেলন করেছে।
সোমবার(০৫ জুন) নরসিংদী প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন নিহত জেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সাদেকুর রহমানের বড় ভাই মো: আলতাফ হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে নিহত সাদেকুরের মা সাহেরা বেগম, ভাই ফারুক মিয়া ও খবির মিয়া, বোন সেলিনা বেগম ও কণা বেগম উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আলতাফ হোসেন বলেন, অস্ত্র ব্যবসায়ী, ছিনতাই ও হত্যা মামলার আসামীদের দিয়ে গত ২৬ জানুয়ারি জেলা ছাত্রদলের কমিটি গঠনের পর অভ্যন্তরীণ কোন্দলের সৃষ্টি হয় জেলা ছাত্রদলে। প্রকৃত ও ত্যাগী ছাত্রদল নেতাদের দিয়ে জেলা ছাত্রদলের কমিটি গঠনের দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভসহ বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচী চালাচ্ছিল জেলা ছাত্রদল নেতা আমার ভাই সাদেকুর রহমান ও আশরাফুল ইসলামসহ পদবঞ্চিত ছাত্রদল নেতাকর্মীরা।
পরে ছাত্রদলের কোন্দল নিরসনে দলীয় যৌক্তিক সাংগঠনিক পদক্ষেপ গ্রহণ না করে পদবঞ্চিত ছাত্রদল নেতাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা বিএনপির আহবায়ক খায়রুল কবীর খোকন। গত ১১ ফেব্রুয়ারি শিবপুরের ইটাখোলা এলাকায় হত্যার উদ্দেশ্যে পরিক্ষীত ও ত্যাগী জেলা ছাত্রদল নেতাদের লক্ষ্য করে গুলি করেন খোকন।
গত ২৫ মে চিনিশপুরে জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয় ও যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকনের বাড়ির নিকটে আন্দোলন করার সময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকনের নির্দেশে ছাত্রদল নেতা সিদ্দিকুর রহমান নাহিদ সহ অন্যান্যরা গুলি করে ছাত্রদল নেতা সাদেকুর রহমান ও আশরাফুল ইসলামকে হত্যা করে।
এই ঘটনায় খোকনসহ জড়িতদের আসামী করে থানায় হত্যা মামলা হওয়ার পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিহত ছাত্রদল নেতাদের পক্ষে কোন প্রকার শোক জানিয়ে বিবৃতি দেননি। উল্টো তিনি হত্যা মামলার আসামী বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকন ও তার স্ত্রী বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা ও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদসহ অন্যান্য আসামীদের পক্ষ নিয়েছেন।