মনোহরদীর চালাকচর-মাষ্টারবাড়ী ৮ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা সংস্কারে নেই কোনো উদ্যোগ।
আবুল কালাম, মনোহরদীঃ মনোহরদীর চালাকচর- মাষ্টারবাড়ী পাকা রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরেই কটিয়াদী উপজেলা সীমানা পর্যন্ত ভাঙ্গাচোরা ও খানাখন্দে পরিপূর্ণ। ফলে গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি নিয়ে চলাচলকারীদের ভোগান্তির অন্ত নেই। রাস্তাটি দিয়ে চালাকচর বাজার, বীরগাঁও চৌরাস্তা বাজার, দরগার বাজার, মাষ্টারবাড়ী বাজার, কটিয়াদী বাজারের লোকজনসহ এলাকাবাসীর চলাচলের প্রধান রাস্তা। এটি এক বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের দৈনন্দিন প্রয়োজনে মনোহরদী উপজেলা সদরে যাতায়াতের জন্য ব্যবহৃত রাস্তাও বটে। প্রতিদিন রাস্তাটিতে সিএনজি, অটোরিক্সা, মোটরবাইক, ট্রাকসহ নানা যানবাহন চলাচলে চলছে তীব্র ভোগান্তি।
এ ছাড়াও রাস্তাটির উপরে খিদিরপুর, কৃষ্ণপুর ও চরমান্দলিয়া ইউনিয়নের পীরপুর উচ্চ বিদ্যালয়, পীরপুর সঃপ্রাঃবিঃ,পীরপুর ভাটিপাড়া সঃপ্রাঃবিঃ, ডোমনমারা সঃপ্রাঃবিঃ, বীরগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়, পশ্চিম বীরগাঁও বালিকা দাখিল মাদ্রাসা, চরমান্দালিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও চরমান্দালিয়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এর শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এ রাস্তা দিয়েই চলাফেরা করে থাকে।
এলাকবাসীর পাশাপাশি রাস্তাটির কারণে প্রচন্ড ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদেরও। এ ছাড়াও ৩ টি ইউনিয়ন এলাকার উৎপাদিত কৃষি পণ্যাদি পরিবহন ও বাজারজাতকরণেও রাস্তাটির গুরুত্ব অপরিসীম। রাস্তাটি নিয়ে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির অভিযোগ এ রাস্তায় চলাচলকারী অটোরিক্সা ও সিএনজি চালকদের। তাদের বক্তব্য, ৫ মিনিটের গন্তব্যে পৌঁছাতে সময় লাগছে তাদের এখন ২৫ মিনিট। এ ছাড়া তাদের যানবাহনের ক্ষয়ক্ষতিও ঘটে থাকে ভীষণ রকম। এতে সীমাহীন আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন তারা। ফলে এ রাস্তায় চলাচলে ভীষণ অনীহা তাদের।
এ বিষয়ে মনোহরদী উপজেলা প্রকৌশলী মীর মাহিদুল ইসলাম জানালেন, রাস্তাটির উন্নয়নে তারা একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছেন এবং তা অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছেন। অনুমোদন এলেই টেন্ডার হবে। তবে কবে নাগাদ সেটি হতে পারে তা সঠিক বলতে পারেননি তিনি।