মোঃ সুমন মিয়া: নরসিংদীর মনোহরদীতে প্রেমিকার টিকটক আইডি উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে প্রেমিক শরিফ মিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত আরেক প্রেমিক শাকিলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার দুপুরে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মনোহরদী থানার ওসি ফরিদ উদ্দিন। এর আগে ঐ দিন ভোরে গাজীপুরের কাপাসিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
শাকিল উপজেলার চন্দনবাড়ি ইউনিয়নের চন্দনপুর গ্রামের আতিকুল ইসলামের ছেলে। অন্যদিকে, নিহত শরিফ চালাকচর ইউনিয়নের বাঘবের গ্রামের মহিউদ্দিনের ছেলে।
এর আগে ১৬ মে বিকেলে উপজেলার চন্দনপুর গ্রামে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন তিনি। ১৮ মে বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
মনোহরদী থানার ওসি ফরিদ উদ্দিন জানান, হামলার ঘটনার পর নিহতের বাবা মহিউদ্দিন বাদী হয়ে শাকিলকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা চেষ্টা মামলা করেন। পরে শরিফের মৃত্যুতে সেই মামলা হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়। ঐ ঘটনার পর থেকেই শাকিলকে গ্রেফতারের অভিযান শুরু হয়। পরে সোমবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে নরসিংদী আদালতে পাঠানো হবে। অন্যদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
জানা যায়, শরিফের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ঐ স্কুলছাত্রীর। কিছুদিন আগে শরিফ প্রবাসে চলে যাওয়ার পর শাকিলের সঙ্গে নতুন করে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান ঐ স্কুলছাত্রী। প্রেমিক শাকিল তার প্রেমিকার টিকটিক আইডির পাসওয়ার্ড জানতেন। পরে প্রেমিকার টিকটিক আইডি থেকে বিভিন্ন ধরনের আপত্তিকর ভিডিও আপলোড দিতেন।
এ নিয়ে প্রেমিক শাকিল ও প্রবাসফেরত শরিফের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাধে। মঙ্গলবার বিকেলে শাকিলকে ঐ ছাত্রীর টিকটক আইডি ও পাসওয়ার্ড দিতে বলেন শরিফ। শাকিল আইডি ও পাসওয়ার্ড দিতে অস্বীকার করেন। একপর্যায়ে শরিফকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন শাকিল। পরে স্থানীয়রা শরিফকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থায় অবনতি হরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনার তিনদিন পর শরিফ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।